মায়ের সঙ্গে স্মৃতিও তুলতেন চা–পাতা

২০২২ সালে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০ জন অদ্বিতীয়ার মধ্যে অন্যতম সিলেটের মালনীছড়া চা–বাগানের মেয়ে স্মৃতি রানী মুদি। পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে স্নাতক পড়ছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে।
ছবি: সৌরভ দাশ

সিলেটের মালনীছড়া চা–বাগানের মেয়ে স্মৃতি রানী মুদি। বাবা হৃদেশ মুদি চা শ্রমিক ইউনিয়নের আওতাধীন একজন শিক্ষক। মা মিতা সিং রাউতিয়া একজন চা–শ্রমিক। মালনীছড়া চা–বাগানের মেয়েদের মধ্যে স্মৃতিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পা রেখেছেন। অন্য মেয়েদের অনুপ্রেরণা হতে চান তিনি। এইউডব্লিউর এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দুই বোনের পড়ালেখা চালাতে অমানবিক পরিশ্রম করেন মা-বাবা। ঋণও করতে হয়েছে। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় আমি আর আমার বোন চা–পাতা তোলার কাজে মাকে সাহায্য করতাম। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল বলেই কড়া রোদে চা–পাতা তোলার কাজও কখনো কষ্টের মনে হয়নি। আমি বিসিএস দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হতে চাই। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি ও ছবি আঁকার আগ্রহও আছে। আমি চাই চা–বাগানের মেয়েদের স্বপ্ন দেখাতে, তাঁদের অনুপ্রেরণা হতে।’

উল্লেখ্য, দরিদ্রতম পরিবারের প্রথম মেয়েসন্তান, যাঁরা নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছান, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া হয় আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি। চট্টগ্রাম অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়। তাঁদের আবাসন, টিউশন ফি মওকুফসহ নানা সুবিধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত ট্রান্সকম গ্রুপের সহযোগিতায় ৪২ জন এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ৫৬ জনসহ মোট ৯৮ জন এই বৃত্তি পেয়েছেন। ২০২২ সালে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০ জন অদ্বিতীয়ার মধ্যে অন্যতম সিলেটের মালনীছড়া চা–বাগানের মেয়ে স্মৃতি রানী মুদি। পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে স্নাতক পড়ছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে।