‘চা বাগানের উন্নয়নে কাজ করতে চাই’

পরিবারের প্রথম নারী, যিনি নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া হয় আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অদ্বিতীয়া’ বৃত্তি। চট্টগ্রাম অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের শিক্ষার্থীরা এই ‍বৃত্তি পান। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ৪৬ জনসহ মোট ৮৮ জন এখন পর্যন্ত এই বৃত্তি পেয়েছেন। প্রতি বছর ১০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় এই ‘অদ্বিতীয়া’ বৃত্তি। আজকে থাকছে এ বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত রিপা সাধুর লেখা তাঁর নিজের গল্প।

‘অদ্বিতীয়া’ বৃত্তিপ্রাপ্ত রিপা সাধু

আমি একজন চা শ্রমিকের সন্তান। দুই বোন, মা-বাবাসহ আমাদের পরিবারের সদস্য পাঁচজন। আমি যখন কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি, তখন বাবার চাকরিটা চলে যায়। মা চা শ্রমিক। দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা দিয়ে আমাদের তিন বোনের পড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই বড় বোন খুব বেশি দূর পড়তে পারেননি। আমিও আমাদের আর্থিক অবস্থার কথা বলে শিক্ষকদের কাছে বিনা মূল্যে প্রাইভেট পড়েছি। কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় একবার বান্ধবী মনির কাছে খবর পেলাম, চান্দপুর চা বাগানে একটা অনুষ্ঠান হবে। আয়োজক ইউনিভার্সিটি টি স্টুডেন্টস অ্যাসেসিয়েশন (ইউটিএসএ)। সেখানেই জানতে পারি এইউডব্লিউয়ের কথা। ভগবানের অশেষ কৃপায় চান্সও পেয়ে যাই। ভবিষ্যতে আমি সরকারি চাকরি করে চা বাগানের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।