অদ্বিতীয়ার গল্প
‘এতগুলো মেয়েকে পড়ালেখা করিয়ে কী হবে?’
পরিবারের প্রথম নারী, যিনি দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছেন, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া হয় আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি। চট্টগ্রাম অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষার্থীরা পান এই বৃত্তি। আবাসন, টিউশন ফি মওকুফসহ তাঁদের নানা সুবিধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ৫৬ জনসহ মোট ৯৮ জন ২০২২ সাল পর্যন্ত এই বৃত্তি পেয়েছেন। পড়ুন বৃত্তিপ্রাপ্ত রিংকি ভৌমিকের গল্প–
চার বোনের মধ্যে আমি বড়। বাবা একজন চা–শ্রমিক। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মা আমাদের ফেলে অন্যত্র চলে যান। তখন মানুষের অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। লোকে বলেছে, ‘এতগুলো মেয়েকে পড়ালেখা করিয়ে কী হবে? সময় থাকতে বিয়ে দিয়ে দাও। নয়তো মায়ের মতো অঘটন ঘটাবে।’ খুব ভেঙে পড়েছিলাম আমরা। বড় মেয়ে হিসেবে দায়িত্ব, চাপ, সব এসে পড়ছিল আমার ওপর। তবু বাবার অনুপ্রেরণায় আমরা হাল ছাড়িনি। অনেক সংগ্রামের পর এইউডব্লিউতে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ফুল ফ্রি বৃত্তি দেয়, কিন্তু হাত খরচের জন্যও তো কিছু টাকার দরকার। বাড়িতে টাকা চাইতে সংকোচ হয়। প্রথম আলো ও আইডিএলসির বৃত্তি পাওয়ায় এখন আমি আমার খরচ বহন করতে পারব।