সিলেটে বসে বিদেশের কোম্পানিতে আইটি সহায়তা প্রদান করার মতো একটা স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠা করার গল্প বললেন প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত তাহসিন মাহবুব পংক্তি। তাহসিন জানালেন, ‘ আমি যেদিন স্নাতক শেষ করি সেদিনই একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি। পরে আরেকটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এইচআর ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করি। কাজ করতে করতে মাথায় চিন্তা আসে নিজের কিছু একটা করার। পরে দুই বন্ধুসহ তিনজনে মিলে ‘রিক্রুট’প্রতিষ্ঠা করি।’
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মেয়ে তাহসিন মাহবুব পংক্তি। তিনি ২০১৩ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) এবং প্রথম আলো ‘ফার্স্ট ফিমেল ইন দ্য ফ্যামিলি স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পান। বৃত্তি পেয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) করেছেন চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন থেকে। এখন তিন বন্ধু মিলে ‘রিক্রুট’ নামে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন এবং সফলতার মুখও দেখেছেন।
হঠাৎ ‘রিক্রুট’ করার কেন দরকার হলো, রিক্রুট-ই বা কেন নাম হলো। এর উত্তরে তাহসিন বলেন, আমার বাকি দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিশা ও ধনঞ্জয় গুগলসহ বিদেশের অনেকগুলো স্টার্ট-আপে কাজ করেছেন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে দেখেন, ওখানে প্রচুর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দরকার হচ্ছে। কিন্তু তাদের হায়ারিংটা কঠিন। এখান থেকেই মাথায় আসে-আমরাও তো এই হায়ারিংয়ের কাজটা করে দিতে পারি। সেখান থেকেই ‘রিক্রুট’ নামটা রাখা। আমরা বিদেশের বিভিন্ন স্টার্ট-আপ কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হায়ারিংয়ের কাজটা করে দেই। আমরা ২০২০ সালে মার্চে কাজ শুরু করি। অফিস সেট-আপ আর ইঞ্জিনিয়ারসহ মে মাসে পুরোদমে শুরু করি। এখন অনেক ভালো চলছে।
রিক্রুটকে আরও বড় পরিসরে দেখতে চান তাহসিন। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের আরও বেশি কানেক্ট করাতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে যেহেতু প্রথম আলো থেকে বৃত্তি পেয়েছি, প্রথম আলোর অদ্বিতীয়া, তাই আমিও চাই এইউডব্লিউতে যারা অদ্বিতীয়া বৃত্তি নিয়ে সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স) পড়ছেন তারা যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুযোগটা নিতে চান আমরা অনেক খুশি হব। একটা কথা বলতে চাই সেটা হলো, কখনো স্বপ্ন দেখা ছাড়া যাবে না। এগিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া পথ নাই। সবাইকে বলব, স্বপ্ন দেখুন, নিজেকে সফল করুন, রিক্রুটের সঙ্গে থাকুন।’