‘অদ্বিতীয়া বৃত্তি আমাকে উচ্চশিক্ষা নিতে সাহায্য করবে’

পরিবারের প্রথম নারী, যিনি দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছেন, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া হয় আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি। চট্টগ্রাম অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষার্থীরা পান এই ‍বৃত্তি। আবাসন, টিউশন ফি মওকুফসহ তাঁদের নানা সুবিধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ট্রান্সকম গ্রুপের সহযোগিতায় ৪২ এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ৪৬ জনসহ ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৮৮ জন এই বৃত্তি পেয়েছেন। আজকে থাকছে ২০২১ সালে বৃত্তিপ্রাপ্ত উম্যেচিং মারমার গল্প।

২০২১ সালে অদ্বিতীয়া বৃত্তিপ্রাপ্ত উম্যেচিং মারমা।
ছবি: প্রথম আলো।

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মেয়ে উম্যেচিং মারমা। অনেক বাধা অতিক্রম করে আজ স্নাতক পর্যায়ে এসেছেন তিনি। পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে স্নাতক পড়ছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে। তাঁর এই এগিয়ে চলার গল্প শোনা যাক তাঁর নিজের মুখ থেকেই।

উম্যেচিং জানালেন, ‘অদ্বিতীয়া বৃত্তি পাওয়া বাকিদের মতো আমার জীবনটা বোধ হয় অত কঠিন নয়। একেবারে হেসেখেলে জীবনের এতটা পথ পাড়ি দিয়েছি তাও নয়। বাধা বিপত্তি তো ছিলই। কিন্তু মা-বাবা কখনো আমাকে সেসব বুঝতে দেননি। আমার পর্যন্ত পৌঁছাতে দেননি। তাই আমি চাই তাঁদের জন্য কিছু করতে। আমাদের সমাজে বলা হয়, মেয়েদের এত পড়ালেখা করিয়ে কী হবে? কদিন পর তো বিয়ে করে চলেই যাবে। কিন্তু আমার পরিবার আমাকে নিয়ে কখনো এমনটা ভাবেনি। সব সময় চেয়েছে আমি যেন পড়ালেখা করি। এইউডব্লিউকে ধন্যবাদ আমাকে এই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। প্রথম আলো ও আইডিএলসিকেও ধন্যবাদ এই বৃত্তির জন্য। এই বৃত্তি নিশ্চয়ই আমাকে উচ্চশিক্ষা নিতে সাহায্য করবে।’