টাঙ্গাইলের করটিয়া গ্রামের মেয়ে সুমাইয়া তাবাসসুম সুহি। অসচ্ছলতার বাধা পেরিয়ে অদম্য ইচ্ছা নিয়ে তিনি এগিয়েছেন। সুহি ২০১৭ সালে আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন। পটে পাবলিক হেলথ বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন থেকে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাকের হিউমেনিটেরিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় প্রকল্প কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত নোয়াখালীতে। এর আগে তিনি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ নামক প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সুহির সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেল, তিনি তাঁর পরিবারের তো বটেই গ্রামের প্রথম গ্র্যাজুয়েট নারী। তিনি বলেন, 'আমি আমার পরিবারের প্রথম ইউনিভার্সিটিতে গেছি। আমি বেড়ে উঠেছি টাঙ্গাইলের করটিয়া গ্রামে। ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব সিরিয়াস ছিলাম। এসএসসিতে ভালো ফল করি। পরে অনেক যুদ্ধ করে টাঙ্গাইল শহরে কলেজে ভর্তি হতে পেরেছিলাম। তবে বাবা-মা আমার পড়াশোনার জন্য বাধা তৈরি করেননি। বাধা তৈরি করেছে প্রতিবেশিরা। চারপাশের মানুষ বলেছে, ‘মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দাও। বয়স হলে বিয়ে দিতে পারবা না।’ তবে মা এগুলো মাথায় নেয়নি। আমার মায়ের অনুপ্রেরণা না থাকলে আজকের অদ্বিতীয়া হতে পারতাম না।’
নিজের স্বপ্ন নিয়ে সুহি জানান, ‘স্নাতক শেষ করা পর নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছি। আপাতত নিজেকে একটু স্টেবল করার চেষ্টায় আছি। তাড়াহুড়া করছি না। পরিবারে সাপোর্ট করার প্রয়োজনে চাকরি করছি। চাকরির পাশাপাশি দেশে বা দেশের বাইরে থেকে এমপিএইচ করার ইচ্ছা আছে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করব, তাই নিজের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছি।'