ময়মনসিংহের সদর উপজেলার কিসমত গ্রামের মেয়ে অরনীকা জামান আখিঁ। বাবা আশরাফুজ্জামান কৃষি কাজ করতেন আর মা দেলোয়ারা বেগম গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ছিলেন। তাদের অল্প আয়ে সংসার চালানো ও পড়াশোনার খরচ চালানো কঠিন ছিল। পরিবারে অসচ্ছলতা সত্ত্বেও বাধা অতিক্রম করে অদম্য ইচ্ছা নিয়ে এগিয়েছেন অরনীকা। তিনি ২০১৮ সালে আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন। শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ করেছেন চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন থেকে। পরে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাডজাঙ্কট্ ম্যাথ ফ্যাকাল্টি হিসেবে যোগ দেন নিজের বিশ্ববিদ্যালয়েই। বর্তমানে তিনি (মে ২০২৩ থেকে) জুনিয়র ম্যাথ ফ্যাকাল্টি হিসেবে কর্মরত।
আমার দৈনন্দিন ও অন্যান্য যে খরচগুলো আছে সেগুলো আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি থেকে পাই। এরপর আমাকে আর পরিবারকে আর কোনো চিন্তা করতে হয়নি— অরনীকা জামান আখিঁ।
চাকরি বিষয়ে অরনিকা বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা শেষ করেই চাকরিতে জয়েন করার। কারণ আমার পরিবারকে দেখতে হবে। সে জন্য অনেক জায়গায় সাক্ষাৎকার দিই। ফাইনালি আমার বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে অ্যাডজাঙ্কট্ ম্যাথ ফ্যাকাল্টি হিসেবে যোগ দিই। প্রথমে ভেবেছিলাম বেসরকারি সংস্থায় কাজ করব। পরে মনে হলো এইউডব্লিউতে সুযোগ থাকলে ওখানেই করব। শেষ পর্যন্ত এখানে হয়ে গেল। এ বছর স্থায়ী হয়েছি।’
পরক্ষণে আরও যুক্ত করে বললেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এইচএসসি পাসের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। আমি এই ব্যবস্থায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাইনি। পরে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে ভর্তির সুযোগ পাই। আমার মা গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ছিলেন, ওখান থেকেই জানতে পারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন সম্পর্কে। পরে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষাবৃত্তি পাই। আর আমার দৈনন্দিন ও অন্যান্য যে খরচগুলো আছে সেগুলো আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি থেকে পাই। এরপর আমাকে আর পরিবারকে আর কোনো চিন্তা করতে হয়নি। এটা আমাকে অনেক হেল্প করেছে।’