‘সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কটা হবে নিবিড়’

প্রথম আলো ট্রাস্টের নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভা। করোনাকালে এ সভা চলছে অনলাইনে। গত ২৭ এপ্রিল বুধবার বেলা সাড়ে ৩ টা থেকে আধা ঘণ্টা প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সহায়তা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল চারটা থেকে আধা ঘণ্টার এই আয়োজনে অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন। অনলাইন এই অনুষ্ঠানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় আসে সেগুলো প্রশ্ন ও উত্তর আলোকে প্রকাশিত হচ্ছে। আজকে থাকছে পর্ব-৬০।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন।

প্রশ্ন:পজিটিভ প্যারেন্টিং আসলে কি? এর ফলে শিশু-কিশোররা মাদক থেকে কিভাবে দূরে থাকতে পারে।

উত্তর: প্যারেন্টিং হলো সন্তান লালন পালন । প্যারেন্টিং বাবা মায়ের প্রেগনেন্সির থেকেই শুরু হয়। এটা শিখতে হয়। কয়েক রকম (স্বৈরাচারী, কর্তৃত্বপূর্ণ , সহনশীল) প্যারেন্টিং দেখা যায় । বাবা মায়ের সম্পর্ক সুনির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব পালন করা। সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলা । অর্থাৎ বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের সু-সম্পর্ক থাকে। বাবা-মা সন্তানকে যা বলবে তাই শুনতে হবে। ‘না’ বলাটা কোন কোন বাবা মা শুনতে চায়না। খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে তারা নজরে এনে বড় করে ধরে। আরেক ধরনের আছে বাসায় কোনো নিয়মকানুন নাই। ছোট বাচ্চাদের বাসায় রেখে বাবা মা অফিসে চলে যাচ্ছেন। একটু বুঝিয়ে যাওয়া যায়। কিংবা অন্য সময় শিশুকে একটু বেশি সময় দিলেন। আবার দেখা গেল শিশুর দিকে কোন খেয়াল নেই । বাচ্চার জ্বর কেউ খেয়াল করছে না। শিশুর সঙ্গে বাসায় কেউ নেই , একাকিত্ব বোধ করে। সেই সব শিশুরা বাইরের পরিবেশে বন্ধুদের সঙ্গে যখন মিশে তখন তাকে আপন মনে হয়। এ জন্য পজিটিভ প্যারেন্টিং দরকার। সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কটা হবে নিবিড়। বাবা মায়ের সঙ্গে মিশে যাবে। এটা চর্চার বিষয়।