মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ ধূমপান

ধূমপান থেকে বেশির ভাগ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্তির প্রধান কারণ ধূমপান। মাদক গ্রহণের ফলে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়। ধূমপান ছেড়ে দিলে মানসিক আসক্তি হয় কিন্তু শারীরিক আসক্তি হয় না। তাই চট করে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া যায়। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য দিনক্ষণ ঠিক করার কিছু নেই। চিন্তার ক্ষেত্রে মোটিভেশন দরকার। ধূমপান ছেড়ে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা.মো.জিল্লুর রহমান খান এ কথা বলেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল চারটা থেকে আধা ঘণ্টা প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সহায়তা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী মাহবুবা সুলতানা। অনলাইনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার এটি ছিল ২৭ তম আয়োজন।

ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান বলেন ‘প্রিয়জন মাদকাসক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। মাদক নিরাময় যোগ্য। ধৈর্য ধরতে হবে, হতাশ হবেন না। ভালোবাসা, ধৈর্য, সহযোগিতা মনোভাব নিয়ে রোগীর পাশে দাঁড়াতে হবে। পরিবারের লোকজনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। মোবাইল, টাকা পয়সা দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। নিরাময় কেন্দ্র থেকে ফিরে আসার পর রোগীকে সন্দেহ করবেন না। কারও সঙ্গে তুলনা করে কথা বলবেন না। রোগীকে পারস্পরিক সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে।’

মাদকাসক্ত ব্যক্তির মাদক ছাড়ার ইচ্ছা থাকতে হবে। চিকিৎসার প্রথম ধাপ পুনর্বাসন কেন্দ্রে থেকে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা করানো । চিকিৎসা শেষে কমপক্ষে দুই বছর যদি মাদক গ্রহণ না করে তবে ধরে নেওয়া যায় তিনি মাদকমুক্ত হয়েছেন। মাদকাসক্তির সঙ্গে মানসিক রোগের একটা সম্পর্ক আছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির মানসিক অনেকগুলো রোগের লক্ষণ দেখা যেতে পারে । আত্মহত্যা, বিষণ্নতা, ডিপ্রেশন, সিজোফ্রেনিয়া, কিংবা যেকোনো সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে।

মাদকের পুনরাসক্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা হলো সময়: যেই সময়ে সে মাদক গ্রহণ করত সেই সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। স্থান: যে জায়গায় মাদক গ্রহণ করত সেই জায়গা এড়িয়ে চলা। ব্যক্তি: যাদের সঙ্গে বসে মাদক গ্রহণ করত তাদের এড়িয়ে চলা।

মাদকাসক্ত হলে চিকিৎসা কোথায় করাব এর উত্তরে ডা.মো. জিল্লুর রহমান খান জানালেন, ‘রাজধানীর শেরেবাংলা নগর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বহি:বিভাগ, কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মাদকাসক্তির চিকিৎসা হয়। এ ছাড়া সারা দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বহি:বিভাগে যোগাযোগ করবেন।