মাদক গ্রহণে ফলে সবকিছু থেকে আনন্দ হারাতে থাকে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান জানালেন, ‘দীর্ঘদিন গাঁজা খেলে এর ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। দিন দিন গাঁজা খাওয়ার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। গাঁজা সেবনকারীরা ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়। গাঁজা সেবনের কারণে মানসিক ও শারীরিক সব ধরনের ক্ষতি হয়। সামাজিক দক্ষতা কমে যায়। কখনো অতি আনন্দে আত্মহারা থাকে। আবার কখনো মনমরা থাকে। অনেক সময় কোনো কিছু মনে রাখাতে পারে না। অর্থহীন কথাবার্তা বলে। হাত-পা কাঁপতে থাকে। হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। চোখ লাল হয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ’ প্রথম দিকে খাওয়াদাওয়া বেশি করে। ধীরে ধীরে খাওয়ার রুচি একেবারে কমে যায়। রক্তচাপ কমে যায়। বুক ধড়ফড় করে। ধীরে ধীরে সবকিছু থেকে আনন্দ হারায়। নিজেকে সব সময় গুটিয়ে রাখে। ঘুমের নিয়ম বলে কিছু থাকে না। মানসম্মান ও ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়। তখন অন্যকে আঘাত করে। অনেক সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করে। বিনা কারণে অন্যকে সন্দেহ করে। স্বাস্থ্য ভাঙতে ভাঙতে দুর্বল হয়ে পড়ে। হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

করোনাকালে প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সভা হয়েছে ২৭টি। প্রতি মাসে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে বিকেল ৪টায় প্রথম আলো, প্রথম আলো ট্রাস্টের ফেসবুক পেজ এবং প্রথম আলোর ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এই আয়োজনেও দর্শকেরা সরাসরি যুক্ত হয়ে বিশেষজ্ঞ মনোরোগ চিকিৎসকদের প্রশ্ন করে প্রয়োজনীয় উত্তর জেনে নেন। অনলাইন আয়োজনের বিস্তারিত প্রথম আলো ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়ে থাকে।