ভালো কে 'হ্যাঁ', মন্দকে 'না'

দীর্ঘদিন মাদকবিরোধী নানা কর্মসূচি, মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভায় চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ অনুসরণে লিখেছেন আশফাকুজ্জামান।

প্রত্যেক মানুষের একটি নিজের জগৎ থাকে। সেখানে বন্ধু-বান্ধবসহ সমাজের অনেক বিষয় থাকে। একজন মানুষের বন্ধুবান্ধবের সবার মানসিকতা বা চিন্তা-ভাবনা এক হবে না। এদের মধ্যে কেউ খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, কেউ ভালো কাজের চর্চা করতে পারে। খারাপ বন্ধুরা অন্য ভালো বন্ধুদের অনৈতিক কাজের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করে থাকে। এসব ক্ষেত্রে ভালোর প্রতি নিজের আকর্ষণ বাড়াতে হবে। আর দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে মন্দের বিরুদ্ধে।

কখনো কোন বন্ধু বা অন্য কেউ মাদক গ্রহণসহ কোন অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিলে তখনই তাঁকে না বলতে হবে। খুব উত্তেজিত বা নরমভাবে বলা যাবে না। এমনভাবে বলতে হবে, যেন সে বুঝতে পারে, তুমি এসব পছন্দ কর না।

পরিবারের অভিভাবকদের ছোট বেলা থেকেই নৈতিকতা শেখাতে হবে। মূল্যবোধ শেখাতে হবে। সম্মানবোধ শেখাতে হবে। পরিবারের বড়রা যদি কোন অন্যায়কে গ্রহণ না করেন, সন্তান ও অন্যদের মধ্যে এর প্রভাব পড়ে। এসব পরিবারের সন্তান অন্যায়কে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয় না। এমন সন্তানেরা নিজেরা সাধারণত কোন অন্যায় করেনা। অন্যায় দেখলে তার প্রতিবাদ করে। যেকোনো কাহ্রাপ কাজকে ঘৃণা করে। সাহসের সঙ্গে না বলতে পারে। খারাপকে না বলতে পারলে জীবনের পথ সুন্দর হয়।