বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসার মাধ্যমে মাদক থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। সন্তানেরা যাতে মাদকাসক্ত না হয়, সে জন্য তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সন্তানের ইতিবাচক গুণগুলোর প্রশংসা করতে হবে। এতে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
প্রথম আলো ট্রাস্ট্রের মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানে এসব বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। রাজধানীর ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার ১৫৯তম মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠান হয়। এ অনুষ্ঠানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের স্বজনেরা এসে বিনা মূল্যে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন। এ ছাড়া মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে চিকিৎসকেরা কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক মোহিত কামাল বলেন, যে তরুণেরা ইতিমধ্যে মাদকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও ইতিবাচক দিক রয়েছে। তাঁরা হয়তো ভালো গাইতে পারেন, লিখতে পারেন, চিত্রাঙ্কন করতে পারেন। তাঁদের এই ইতিবাচক গুণগুলোর প্রশংসা করতে হবে। এতে তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। ছোট ছোট কাজে সাফল্য পেলে তখন তাঁরা মাদকও ছাড়তে পারবেন।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক আহমেদ হেলাল বলেন, শিশুদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। তাদের সিদ্ধান্ত ভুলও হতে পারে। সেটা মা–বাবাকে যাচাই করতে হবে। কিন্তু যদি কোনো শিশু ছোটবেলা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে সে বড় হয়ে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর–কিশোরীদের একধরনের নিজস্ব পরিচয় তৈরি হয়। এ সময় অভিভাবকদের সন্তানকে সরাসরি ‘না’ বলার চেয়ে ভালো বিকল্পগুলোর বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এস এম আতিকুর রহমান পরামর্শ দেন। মাদকবিরোধী আন্দোলনের এই পরামর্শ সভা সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা।