প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব-৬
পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া মাদকের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয় না
প্রথম আলো ট্রাস্টের নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভা। করোনাকালে এ সভা চলছে অনলাইনে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ফেসবুক পেজে মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সহায়তা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল চারটা থেকে আধা ঘণ্টার এই আয়োজনে অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ দেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার। অনলাইন এই অনুষ্ঠানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় আসে সেগুলো প্রশ্ন ও উত্তর আলোকে প্রকাশিত হচ্ছে। আজকে থাকছে ষষ্ঠ পর্ব।
প্রশ্ন: আমাদের দেশের অভিভাবকেরা অনেক সময়ই মেনে নিতে পারেন যে তার সন্তান মাদকে আসক্ত। সেই ক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবকেরা যখন তারা জানতে পারেন যে তার সন্তান মাদকে আসক্ত, তাদের করণীয় কি হওয়া উচিত?
উত্তর: মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সভায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার জানান, 'আমরা যখন জানি যে আমাদের পরিচিত কেউ অসুস্থ, আমাদের মধ্যে কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া হয় না। তার জন্য আমাদের সহানুভূতি হয় কিন্তু মাদকাসক্তিকে আমাদের দেশে এক ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কেননা মাদকাসক্ত ব্যক্তি নানা সময়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পরে। তাই অভিভাবকেরা এই বিষয়টি মানতে চান না। তাই প্রথমেই একজন অভিভাবককে বুঝতে হবে যে তার সন্তান মানসিক রোগে আক্রান্ত। মাদক নেওয়ার ফলে তাঁর সন্তানের মস্তিস্কে এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছে। যার কারণে সে এমন আচরণ করছে। তাই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। এই মানসিক শক্তিটা অভিভাবকের মধ্যে থাকতে হবে। মাদকের চিকিৎসা একটি সম্মিলিত চিকিৎসা ব্যবস্থা। এখানে একজন চিকিৎসক থাকেন, একজন মানসিক বিশেষজ্ঞ থাকেন, আর পরিবারের সদসস্যরা থাকেন। পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া মাদকের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয় না।'