দুই বছর মাদক গ্রহণ না করলে, ধরে নেওয়া হয় মাদকমুক্ত হয়েছেন

প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলন প্রতি মাসে পরামর্শ সহায়তার আয়োজন করে। রাজধানীর ধানমন্ডি ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ১২০টি পরামর্শ সহায়তা সভা করা হয়েছে। এখানে মূলত উপস্থিত থাকেন মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এসব অনুষ্ঠানে পরামর্শ সেবা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। করোনাকালে প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সভা হয়েছে ২৩টি। প্রতি মাসে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে বিকেল ৪টায় প্রথম আলো, প্রথম আলো ট্রাস্টের ফেসবুক পেজ এবং প্রথম আলোর ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এই আয়োজনেও দর্শকেরা সরাসরি যুক্ত হয়ে বিশেষজ্ঞ মনোরোগ চিকিৎসকদের প্রশ্ন করে প্রয়োজনীয় উত্তর জেনে নেন। অনলাইন আয়োজনের বিস্তারিত প্রথম আলো ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়ে থাকে।

মাদক গ্রহণের ফলে কী কী ধরনের ক্ষতি হয়, এর উত্তরে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা.ফাতিমা মারিয়া খান বলেন, 'মাদকাসক্ত ব্যক্তি কমপক্ষে দুই বছর যদি মাদক গ্রহণ না করেন, তবে ধরে নেওয়া যায় তিনি মাদকমুক্ত হয়েছেন। তাদেরকে ৫টি ট্রিগারিং ফ্যাকটর থেকে দুরে থাকতে হবে। তা হলো: ১. মাদক গ্রহনের আগে যেই মোবাইল ব্যবহার করত সেই সিম বদলাতে হবে। ২. যেই স্থানগুলোতে সে মাদক গ্রহণ করত সেইস্থান এড়িয়ে চলা ৩. মাদক ছাড়ার পর কোন বন্ধুর সঙ্গে মিশছেন তা দেখতে হবে। ৪. টাকাপয়সা খরচের ক্ষেত্রে সতকর্তা ৫. যেই সময়গুলোতে সে মাদক গ্রহণ করত সেই সময়ে অন্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।'