‘অভিভাবকদের মাধ্যমেই সন্তানের আচরণ তৈরি হয়’

প্রথম আলো ট্রাস্টের নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভা। করোনাকালে এ সভা চলছে অনলাইনে। গত ২৯ জানুয়ারি ২০২২ বিকেল ৪টায় প্রথম আলো ট্রাস্টের নিয়মিত আয়োজন অনলাইন মাদকবিরোধী আয়োজনটি ছিল মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার ১৫০তম পর্ব। এই পর্বে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের রেসিডেন্ট সাইক্রিয়াট্রিস্ট ডা. মো. রাহেনুল ইসলাম। অনলাইন এই অনুষ্ঠানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় আসে সেগুলো প্রশ্ন ও উত্তর আলোকে প্রকাশিত হচ্ছে। আজকে থাকছে পর্ব-৭৪।

পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের রেসিডেন্ট সাইক্রিয়াট্রিস্ট ডা. মো. রাহেনুল ইসলাম।

প্রশ্ন: কীভাবে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।

উত্তর: সন্তান ও অভিভাবকের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে না ওঠা মানে দুই পক্ষই নিজ নিজ পরিমণ্ডলের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনে ব্যর্থ। দুই পক্ষেরই যোগাযোগের দক্ষতা কম। সন্তানকে সব সময় আগলে রাখার প্রবণতা যেমন ঠিক নয়, তেমন সন্তানের সব আচরণ, আবদার মেনে নেওয়াও ঠিক নয়। অভিভাবককে সন্তানের কিছু কিছু আচরণকে দৃঢ়ভাবে কিন্তু হাসিমুখে না বলতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় শিশুদের বলি, এই কাজটা করলে লোকে খারাপ বলবে। তার চেয়ে বরং সন্তানকে সরাসরি বলা, আমি এই কাজটা পছন্দ করি, বা পছন্দ করি না। তাহলে শিশুর সঙ্গে যোগাযোগ বেশি সফল হবে।'

সন্তান ও অভিভাবকের মধ্যে একটি সীমা থাকতে হবে। বয়স, সম্পর্ক, পরিস্থিতি ভেদে এই সীমারেখা বিভিন্নরকম হবে। যেমন অভিভাবককে জানতে হবে সন্তানের সামনে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে। চিৎকার করে কথা বলা যাবে কিনা, ভাঙচুর করা যাবে কিনা, দেয়ালে মাথা ঠোকা যাবে কিনা, গায়ে হাত তোলা যাবে কিনা। কেননা সন্তানের আচরণ তৈরি হয় অভিভাবকদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। সুতরাং সন্তানের সঙ্গে এবং সন্তানের সামনে যেমন আচরণ করবেন সন্তান তাঁর পরবর্তী জীবনে তেমনই আচরণ করবে। এই বিবেচনা বোধগুলো সহায়তা করে।