অনিদ্রার কারণে স্মার্টফোনে আসক্ত ব্যক্তি দ্রুত শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২৯ অক্টোবর ২০২৩, প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান ‘ স্মার্টফোনে আসক্তি মাদকাসক্তির ঝুঁকি বাড়ায়?’ বিষয়ে আলোচনা করেন।মাদকবিরোধী পরামর্শ সভার আলোচনা থেকে নিম্নোক্ত অংশটি তুলে ধরা হলো।

পরামর্শ সভায় প্রযুক্তি আসক্তির লক্ষণগুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান বলেন, যে কোন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন যাপনে একটি রুটিন থাকে। যেমন একজন পেশাজীবীকে ঠিক সময়ে অফিস যেতে হয় কিংবা একজন শিক্ষার্থীকে সময় মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করতে হয়। স্মার্টফোনে আসক্ত ব্যক্তির প্রত্যাহিক রুটিনে ব্যাঘাত ঘটে। রাত জেগে স্মার্টফোনে ব্যবহার করলে একজন পেশাজীবী কিংবা শিক্ষার্থী সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারবে না। এর ফলে সময় মেনে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবে না। ফলে তাদের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে। প্রতিদিনের আবশ্যিক কাজগুলো ঠিকঠাক সম্পাদন করতে পারবে না। স্মার্টফোনে আসক্তির ফলে অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে। অনিদ্রার কারণে স্মার্টফোনে আসক্ত ব্যক্তি দ্রুত শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ফলে কাজে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। আসক্তির ফলে উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে, বন্ধু–বান্ধব, আত্মীয়–স্বজনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে।