‘যৌক্তিক কারণকে গুরুত্ব দিতে হবে’

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ৩০ আগস্ট ২০২২, প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোহিত কামাল নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সব প্রশ্ন ও উত্তরের আলোকে আজকে থাকছে পর্ব-১১৩।

প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা।

প্রশ্ন: কখন আমি বুঝব সন্তানকে প্রশ্রয় দিচ্ছি কিনা।

উত্তর: যদি সন্তানের চাহিদা পূরণ করলেন, সে বিজয় উল্লাস করল। ধরা যাক সন্তান টেবিল থেকে পানি নিয়ে খেতে পারে।  কিন্তু নিজে না খেয়ে আপনার কাছে পানি চাইল।  এখন আপনি যদি পানি এনে দেন তাহলে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। সন্তান যখন কিছু চাইছে আপনি দিচ্ছেন । যখন সন্তান যখন কিছু চাইছে আপনি দিচ্ছেন না সবার নজরের  আনার জন্য সে ভাঙচুর করছে । এটা অতি প্রশ্রয়ের ফলাফল। ধরা যাক বাচ্চার খিদে পেয়েছে মা হিসেবে আপনি বুঝলেন, বাচ্চাকে খাবার দিলেন । বাচ্চা মোবাইল চাচ্ছে। বাচ্চাকে মোবাইল দিচ্ছেন।  কিছুদিন পর সে মোটরসাইকেল চাইল।  কিন্তু আপনি দিলেন না। প্রচুর ছেলে আমাদের কাছে আসে পরামর্শের জন্য আসে । মোটরসাইকেল  চাইছি । বাবা-মা দেয় না।  মাসে অন্তত আমরা ৩০ জন  এরকম  পাই। আমরা পরামর্শ দেই প্রতি সপ্তাহে দুই/তিন দিন পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সরেজমিনে গিয়ে আমাদের  রিপোর্ট করবে। এভাবে বললে সে নিজে বুঝবে মোটরসাইকেল  চালালে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হতে পারে।

ধরা যাক একটি শিশু পার্কে যাওয়ার দৌড়াদৌড়ি করেছে  তারপর আপনার কাছে আইসক্রিম চাইল। কিন্তু আপনি বললেন আইসক্রিম খেলে তোমার  ঠান্ডা লেগে যাবে, কাশি হবে,আইসক্রিম দিলেন না । হয়তো ওই সময় তার তৃষ্ণা পেয়েছিল । তখন দেবেন, কারণ ওইটা যৌক্তিক। যৌক্তিক কারণকে আমরা যদি দুরে সরিয়ে দিই তাহলে একসময় সে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে। সমাজবিরোধী কাজ করতে পারে। মাদকের মতো ভয়ংকর নেশা সে করতে পারে।