প্রযুক্তি কীভাবে সময়ের অপচয় করছে সেটা আমরা বুঝতেই পারি না

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সরদার আতিক।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২২ মে প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সরদার আতিক ‘প্রযুক্তি আসক্তির ভয়াবহতাঃ অভিভাবকদের সচেতনতা ’—এই বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আমার সন্তান বা প্রিয়জন এরা কেউ কোন ধরনের আসক্তিতে আসক্ত হয়ে গেছে বুঝবো কি করে?

এ প্রসঙ্গে ডা. সরদার আতিক বলেন, যখন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে গিয়ে আমার যে রুটিন ওয়ার্ক সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিন্তু আমি সেটা বুঝতে পারছি না। কারণ আমি তো তখন এই পুরো সিস্টেমটার মধ্যে আটকে গেছি। তাহলে আমার সচেতনতাটা তৈরি হবে কি করে? আগে আমার সচেতনতাটা জানতে হবে। তারপর আমাদের সন্তানদের সচেতনতার বিষয়টা বুঝাতে হবে। আগে যেমন আমরা বিকেল হলেই খেলতে যেতাম। সেটা এক রকম ভালো লাগার কাজ ছিল। সেটা ছিল আমাদের একটা নেশা। এখন সেই জায়গাটা প্রযুক্তি দখল করছে এবং সমস্যা হচ্ছে এই যে প্রযুক্তি কীভাবে সময়ের অপচয় করছে সেটা আমরা বুঝতেই পারি না। কোন খেলাধুলার জন্য আমাদের কোন না কোন আয়োজন লাগে। কিন্তু প্রযুক্তি আসলে আমাদের পকেটেই থাকে। আপনি খেয়াল করেন আমাদের নিজেদের ক্ষেত্রে কি হয়। আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দেখতে শুরু করি। তারপর সেখান থেকে স্ক্রল করতে করতে কোন একটা ইউটিউব এর কোন একটা ভিডিওতে ঢুকি এবং তারপর দেখা যাচ্ছে যে ব্রাউজিং করতে করতে অনেক দূরে চলে যাই। এভাবেই আসলে আমাদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তিটা চলে আসে। যখন দেখবো প্রয়োজনের তুলনায় নিজের অজান্তেই আমরা অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, তখনই বুঝতে হবে আমি বা আমার সন্তান আসক্তিতে আসক্ত হয়ে গেছে।