'সন্তানদের আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে হবে'

সিটি হাসপাতাল লিমিটেডের সিনিয়র সাইকোথেরাপিস্ট ও কনসালট্যান্ট মাহমুদা মুহসিনা বুশরা।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২৬ জুন ২০২৫ আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। সভার আলোচক ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি) ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া এবং সিটি হাসপাতাল লিমিটেডের সিনিয়র সাইকোথেরাপিস্ট ও কনসালট্যান্ট মাহমুদা মুহসিনা বুশরা। সন্তানকে মাদকমুক্ত করতে পরিবারের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?—এই বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন তাঁরা। উক্ত সভার আলোচনা থেকে একটি প্রশ্ন ও তার উত্তর তুলে ধরা হলো।

বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত? এর উত্তরে মাহমুদা মুহসিনা বুশরা বলেন, ‘একটা সময় যে বাচ্চাটা আমার সঙ্গে খুব কথা বলত কিংবা খুব সহজেই মিশতো, ১৩-১৪ বছর বয়সে সে হঠাৎ করে গুটিয়ে যাচ্ছে। তখন হয়তো ওর একা থাকতে ভালো লাগছে। অনেক সময় দরজা বন্ধ করে নিজের মতো থাকছে। তখন সেটাকে খারাপ কিছু ভাবা যাবে না। আমাদের বুঝতে হবে যে, একসময় আমরাও এমনই ছিলাম। এই সময়টা আমাদেরও পার করতে হয়েছে। আমরা আসলে যখন বাবা মায়ের জায়গাটায় দাঁড়িয়ে যাই, তখন আমরা ভুলে যাই যে, আমরাও একসময় টিনএজ ছিলাম। বাচ্চাদের আঁচল ধরে রাখার যে একটা টেন্ডেন্সি থাকে ,বয়ঃসন্ধিকালের সময় আঁচলটা ছেড়ে দেয়। যখন ছেড়ে দেয় তখন বাবা-মায়েরা ভীষণ ইনসিকিউর হয়ে যায়। তাঁরা চান আঁচলটা বাচ্চাটা ধরে রাখুক। তখন ভয় থেকে বাবা-মা সব সময় বাচ্চাকে শুধু আঁকড়ে ধরতে চান। অভিভাবকদের বলব, এমন করা যাবে না বরং সন্তানদের আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে হবে। তাদের বলতে হবে, আমি তোমার সঙ্গে আছি। তোমার প্রয়োজন হলে আমাকে বলবে। আমি তোমার হেল্পের জন্য সারাক্ষণ আছি।’