বয়সন্ধিকালে সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো বাবা-মাকে ঠিকমত বুঝতে হবে

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি আয়োজন অনলাইনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। এ আয়োজনের আওতায় ২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচক ছিলেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার। তিনি ‘সন্তানের বয়ঃসন্ধিকাল: অভিভাবকের সচেতনতা ‘—এই বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। উক্ত আলোচনা থেকে একটি পরামর্শ তুলে ধরা হলো।

বয়সন্ধিকালে সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের দূরত্ব কমিয়ে আনার উপায় কি? এমন প্রশ্নের উত্তরের ডা. মেখলা সরকার বলেন, 'সবার আগে বাবা-মাকে বুঝতে হবে সন্তানের যে শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো হচ্ছে সেটি তার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় তাদের মধ্যে মর্যাদাবোধ যেমন সৃষ্টি হয় তেমনি করে তারা আশা করে অন্যরাও তার কথা মন দিয়ে শুনবে। শুধু বাবা-মা নয় তাদের বাইরেও অন্যান্য মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের এই শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো বাবা-মাকে ঠিকমত বুঝতে হবে। সন্তান কাদের সঙ্গে মিশবে সেই ব্যাপারে মা-বাবার নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নিতে হবে। নিয়ন্ত্রণ এর প্রথম ধাপ হল সন্তানকে কোন অবস্থায় অপমান করে কথা না বলা অর্থাৎ তার সঙ্গে এমন কোন কথা বলা যাবে না যাতে তার সম্মানহানি হয়। তাকে খারাপ কথা বলা যাবে না। এমনকি তাকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। অর্থাৎ এমন কিছু করা যাবে না যাতে সে মনে কষ্ট পায়। এগুলো শিশুদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। একবার যদি তার মনে ঢুকে যায় যে সে খারাপ তাহলে তার ব্যক্তিত্ব সেই ভাবে গড়ে ওঠে। এই সময়টাতে শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়। তাই তাদের আত্মবিশ্বাস কোন ভাবেই নষ্ট করা যাবে না। তারা যাতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে পথ চলতে পারে এটা বাবা-মাকেই নিশ্চিত করতে হবে। তার মধ্যে কোন নেতিবাচক আচরণের প্রভাব যেন না পড়ে এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সে যেন আত্মবিশ্বাসহীন হয়ে না যায় সেটাও দেখতে হবে।'