বিপর্যয় বা জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা যেন পাওয়া যায়

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান।

মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে, মানসিক রোগের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব বিষয়কে গুরুত্ব প্রদান করার জন্য পালন করা হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯২ থেকে ১০ই অক্টোবর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মানসিক স্বাস্থ্য ও সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষকে অবগত করার মধ্যে বিষয়টি সীমাবদ্ধ নয়। বরং জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক, ভূতাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে যে বিষয়গুলো উঠে আসে তা নিয়েই বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়।

যেমন ক্রমাগত যুদ্ধ বিদ্বেষ আর তার সঙ্গে প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে বিশ্ব হয়ে উঠছে অশান্ত ও উত্তপ্ত। যার প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অবধারিতভাবে ক্ষতিকর। সে জন্যই ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ সালে, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে 'বিপর্যয় বা জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা যেন পাওয়া যায়'।

প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট যেকোনো দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকে। বিষণ্নতা, হতাশা, মনঃসংযোগে সমস্যা, স্ট্রেস ডিসঅর্ডার এমনকি তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা দেয়। সে জন্যই বর্তমান অস্থির, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই বছরটিতে এই প্রতিপাদ্যটি প্রাসঙ্গিক।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, সকল মেডিকেল কলেজ ও প্রতিষ্ঠানে গুরুত্ব দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।