মাদকাসক্তি ও যেকোনো প্রযুক্তি বা যন্ত্রে আসক্তি—দুটোই এক। এগুলো মানুষকে একটি কাল্পনিক জগতে নিয়ে যায়। মূল্যবান সময় ব্যয় হয়। মানুষকে ভালোবাসলে, বই পড়লে এবং জীবন উপভোগ করলে মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকা যাবে।
প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ট্রাস্টের মাদকবিরোধী আন্দোলনের ১৬৬তম পর্ব গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেন্স ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বয়স্করাও মাদক ও মানসিক রোগ নিয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সরদার আতিক বলেন, ‘কেউ মাদকে, কেউ আবার প্রযুক্তি কিংবা যন্ত্রে (ডিভাইসে) আসক্ত।
আপনজন-বন্ধুবান্ধব পাশে থাকলেও অনেকে মুঠোফোনে ব্যস্ত থাকেন।’ তিনি বলেন, ‘আপাতদৃষ্টে তাতে মদ, গাঁজা, ইয়াবা কিংবা হেরোইন কেনার মতো ক্ষতিকর কিছু হয় না। কিন্তু মূল্যবান সময় ব্যয় হয়। অপ্রয়োজনীয় কাজে মস্তিষ্ক ছিনতাই হয়। এটা প্রযুক্তির প্রতি আসক্তির তথা নেশার খারাপ দিক।’
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মাদকাসক্তি এবং যেকোনো প্রযুক্তিতে কিংবা যন্ত্রে আসক্তি—দুটোই এক। এগুলো মানুষকে একটি কাল্পনিক জগতে নিয়ে যায়। তখন মানুষ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু থেকে দূরে সরে যায়।’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো.নাজিম উদ্দিন।