‘সহনশীলতা যাতে প্রশ্রয় না হয় এটি বাবা–মাকে মনে রাখতে হবে’

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২৮ এপ্রিল ২০২৪, প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন (১৭১ তম) মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান সহনশীল প্যারেন্টিং কী ও কেমন? এই বিষয়ের উপর আলোচনা করেন।

সন্তানের আচরণগত পরিবর্তন প্রসঙ্গে ডা. ফারজানা রহমান বলেন, যদি আমরা দেখি সন্তানের বন্ধু হঠাৎ করে পরিবর্তন হচ্ছে, স্কুল–কলেজ থেকে বাড়িতে নালিশ আসছে , সন্তানের আচরণে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, দৈনন্দিন রুটিন বদলে যাচ্ছে,  তখন কিন্তু বাবা–মাকে সচেতন হতে হবে। সন্তানের সঙ্গে একান্তে বসতে হবে। সন্তানের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।  অনেক সময় সন্তানেরা নিজেদের গুটিয়ে নেয়, মন খারাপ করে  থাকে, আমার বেঁচে থেকে লাভ নেই এই ধরণের কথা বলে। এক্ষেত্রে  কিন্তু সন্তানের প্রতি সহনশীলতা দেখানো যাবে না। অভিভাবকদের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।  অতিসত্ত্বর সন্তানকে নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। সহনশীল প্যারেন্টিংয়ের ক্ষেত্রে সন্তানেরা যে কোন বিষয় বাবা–মাকে বলতে পারে এটি কিন্তু ইতিবাচক দিক। কিন্তু সহনশীলতা যাতে প্রশ্রয় না হয় এটি বাবা–মাকে মনে রাখতে হবে।