একটা বয়সের পর সন্তানরা নিজেদের পরিপূর্ণ মানুষ ভাবতে শুরু করে

সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহমুদা মুহসিনা বুশরা (সিনিয়র সাইকোথেরাপিস্ট ও কনসালটেন্ট) সিটি হাসপাতাল লিমিটেড।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২৬ জুন ২০২৫ আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহমুদা মুহসিনা বুশরা (সিনিয়র সাইকোথেরাপিস্ট ও কনসালটেন্ট) সিটি হাসপাতাল লিমিটেড। এবং ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া সহকারী অধ্যাপক ( সাইকিয়াট্রি) জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। এবারের বিষয় ছিল - সন্তানকে মাদকমুক্ত করতে পরিবারের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?

সন্তানের বেড়ে উঠার সময়টাতে তাদের প্রতি বাবা-মায়ের দ্বায়িত্ব কেমন হওয়া উচিৎ? এ প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদা মুহসিনা বুশরা বলেন, 'অনেক সময় আমরা মনে করি আমাদের সন্তানরা একটু বড় হয়ে গেছে। আবার সন্তানও এই সময়টা নিজেদেরকে একটু গুটিয়ে নেয়। তাদের একটা আলাদা জগত তৈরি হয়। তাদের ব্যক্তিত্বের গঠন শুরু হয়। নিজেদেরকে তারা পরিপূর্ণ মানুষ ভাবা মানে ব্যক্তি ভাবা শুরু করে। সেই ক্ষেত্রে তাদের ব্যক্তিত্বের গঠনের সাথে তারাও কিছুটা স্পেস চায় নিজেদের জন্য। কিন্তু ওই সময়টাই আমরা মনে করি ভালনারেবল। তাদের আচার আচরণ, দৈনন্দিন চলাফেরা এবং তাদের রুটিন ওয়ার্কগুলি তারা ঠিকমত করছে কিনা এই বিষয়গুলির দিকে খেয়াল রাখলে আমরা বুঝতে পারবো যে আমার সন্তানটি লেখাপড়ার সাথে তার যে চিত্ত বিনোদনের যে বিষয়গুলি সেগুলি ঠিকমত করছে কিনা কিংবা কোথাও বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিনা। সে স্কুল থেকে সময়মত ফিরছে কিনা বা তার আচরণে কোন পরিবর্তন আসছে কিনা, তার হবি চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে কিনা। যে সন্তানটি বই পড়ত অবসরে সে হঠাৎ করে তার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কি না। এই বিষয়গুলি যখনই সামনে আসবে তাদেরকে সময় নিয়ে আমাদের বোঝাতে হবে। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে সে ও বাবা-মায়ের মতামতকে গুরুত্ব দিবে। এভাবেই তাকে যে কোনো আসক্তি সম্পর্কে জানানো যাবে। আমরা যদি খেয়াল করি তাহলে বুঝবো যে সন্তানের কোন বিচ্যুতি ঘটছে কিনা বা তারা মাদকের ভয়াবহতা থেকে তারা মুক্ত কি না। পুরোটা সময় একটা অবজারভেশনের মধ্যে তাদেরকে রাখতে হবে।'