‘সন্দেহ হলে কৌশলে মাদকের ডোপ টেস্ট করতে হবে’

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি) ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২৬ জুন ২০২৫ আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। সভার আলোচক ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি) ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া এবং সিটি হাসপাতাল লিমিটেডের সিনিয়র সাইকোথেরাপিস্ট ও কনসালট্যান্ট মাহমুদা মুহসিনা বুশরা। সন্তানকে মাদকমুক্ত করতে পরিবারের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?—এই বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন তাঁরা। উক্ত সভার আলোচনা থেকে একটি প্রশ্ন ও তার উত্তর তুলে ধরা হলো।

আপনার সন্তান মাদকাসক্ত কি না, নিশ্চিত হওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার? এর উত্তরে ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়া বলেন, ‘এই রকম পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের কৌশলী হতে হবে। যেমন, তোমার স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপ হচ্ছে বা তুমি ঠিকমতো ঘুমাচ্ছ না। চল তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তারকে যদি সন্তানের নেশা করার সন্দেহের বিষয় বলি, তখন ডাক্তার তার রুটিন পরীক্ষার সঙ্গে একটা রুটিন ইউরিন এক্সামিনেশন দিয়ে মাদকের ডোপ টেস্টটা করতে পারেন। যদি সাত দিনের মধ্যে সে মাদক নিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু পজিটিভ আসবে। এই এভিডেন্সটা দিয়ে কিন্তু তখন ছেলেকে বা মেয়েকে বলা যায় যে, তুমি হয়তো স্বীকার করোনি কিন্তু তোমার ব্লাডে এটা এসেছে। এমন অবস্থায় সন্তানকে বলতে হবে যে, তোমাকে আমরা অপরাধী ভাবছি না, তবে এটার জন্য কি করা যায়। তখন কিন্তু সে আত্মসমর্পণ করবে। তখন তাকে বুঝিয়ে ট্রিটমেন্ট আওতায় আনতে হবে। তাকে বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যেতে হবে যাতে তার সঠিক চিকিৎসা হয়। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তাই ধৈর্য সহকারে এর চিকিৎসা করতে হবে।’