মাদক থেকে দূরে রাখতে শিশুদের দৃঢ় মানসিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে

শৃঙ্খল ভাঙার আহ্বান: সবার জন্য প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও নিরাময়’ শীর্ষক এক মুক্ত সংলাপে আলোচকেরা। ছবি: প্রথম আলো

মাদকসেবীদের অপরাধী নয়, রোগী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তাহলে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পথ সহজ হবে। মাদকের বিরুদ্ধে শিশু, কিশোর ও তরুণদের দৃঢ় মানসিক শক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হলে তাদের মাদক থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এর পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সঠিক আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। এভাবে সবার সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমেই দেশকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব।

‘শৃঙ্খল ভাঙার আহ্বান: সবার জন্য প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও নিরাময়’ শীর্ষক এক মুক্ত সংলাপে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। ২১ জুন ২০২৫ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এই মুক্ত সংলাপের আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় উঠে এসেছে, ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরাও মাদকে আসক্ত হচ্ছে। মনোরোগ–বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আহমেদ হেলাল সাড়ে ৯ বছর বয়সী একটি শিশুর চিকিৎসা করেছেন উল্লেখ করে বলেন, শিশুটি ঢাকার একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। শুধু মাদকাসক্ত নয়, সে মাদক বিক্রিও করত। তার কাছে ১৫–১৬টি মুঠোফোনের সিম পাওয়া গেছে। এ শিশুকে অপরাধী বলা যাবে না। এটা একটা রোগ। তার চিকিৎসা করাতে হবে। মাদক থেকে দূরে রাখতে শিশুদের দৃঢ় মানসিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষকদেরও ভূমিকা থাকতে হবে।

মাদক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ বলেন, মাদক প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে আত্মসমালোচনা পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। কারণ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু আইন প্রয়োগ করতে পারে; কিন্তু মূল পরিবর্তনটা আসতে হবে পরিবার থেকে।