‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়’

প্রথম আলো ট্রাস্টের নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভা। ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল, ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার ৪৯তম সভায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত অতিথিদের মাদক সংক্রান্ত নানা বিষয়ে পরামর্শ এবং দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। উক্ত সভায় চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করে লিখেছেন আশফাকুজ্জামান। আজকে থাকছে পর্ব-৮৪।

প্রশ্ন: অনেক সময় লেখা দেখি, ‘মাদক ছাড়ার জন্য ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট’। এটা কি ঠিক? নিজের ইচ্ছে থাকলেই মাদক ছাড়া যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, এটা ঠিক। নিজের ইচ্ছে থাকলে মাদক ছাড়া যায়। মাদক ছাড়তে ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। তবে নিজে নিজে মাদক ছাড়া যায় না। প্রথমে মাদক ছাড়ার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে ইচ্ছাশক্তি পোষণ করতে হয়। তারপর কোনো নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হতে হয়। ইচ্ছাশক্তি দিয়ে একা একা মাদক ছাড়া যায় না। কারণ, মাদক ছেড়ে দিলে শরীরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নিজ চেষ্টায় শরীরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকা যায় না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ জন্য কোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি হতে হয়। এক-দেড় বছর একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়। নিজের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা ঘরে বসে মাদকমুক্ত থাকার বিষয়টিকে বোঝানো হয়নি। মাদক ছাড়ার জন্য একদিকে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকতে হবে, অন্যদিকে নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। এ দুটো কাজ একসঙ্গে করতে পারলে তিনি মাদকমুক্ত থাকতে পারবেন।