‘আজই ছেড়ে দেব, এই ইচ্ছা শক্তি যথেষ্ট’

প্রশ্ন: ধূমপানকে মাদকের প্রবেশদ্বার বলা হয়। ধূমপান ছাড়ার কৌশল কি?

উত্তর:  ইয়াবা, গাঁজা  যেমন মাদক হিসেবে ধরা হয়। তেমনি নিকোটিনকে আলাদা রাখার প্রবণতা রয়েছে। কেউ কেউ ধূমপানকে মাদক বলতে চান না। আমেরিকার গবেষণায় দেখা যায়, নিকোটিনকেও মাদক বলা হয়েছে। অন্যান্য মাদকের মতো নিকোটিনে আসক্তি তৈরি করে। ধূমপানের স্বাস্থ্যগত দিকটা সবাই জানে। সিগারেটের ক্ষতির কথা সিগারেটের প্যাকেটেই লেখা থাকে।  ধূমপানে ক্যানসার হয়। এর যে আসক্তি হওয়ার প্রবণতা লোকে কম জানে। কোন ব্যক্তি ইয়াবা বা হেরোইন আসক্ত হলে ছাড়া যেমন কঠিন, তেমনি ধূমপানেও আসক্ত হলে ছাড়া কঠিন। নিকোটিনের শারীরিক আসক্তি হয় না, কিন্তু আসক্তি হয় মানসিক। যিনি ধূমপান করেন প্রতিবার ছাড়ার চেষ্টা করেন তারপর পুনরাসক্তি হয়।

যিনি সিগারেট খাচ্ছেন তিনি  কি পরিমাণে নিচ্ছেন এটা দেখতে হবে। দৈনিক চারটা বা পাঁচটা সিগারেট খাচ্ছেন। কেউ আবার ১০ থেকে ১২ টা নিচ্ছেন । দুইটার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দৈনিক যিনি বিশটা সিগারেট খান তার জন্য ছেড়ে দেওয়াটা কঠিন। প্রথম দিকে প্রত্যাহারজনিত সমস্যা হতে পারে । কিন্তু ইচ্ছা শক্তি যথেষ্ট । ইচ্ছা শক্তিও মোটিভেশন দরকার । কিন্তু যিনি দিনে  ৪ থেকে ৫ টা নিচ্ছেন তার জন্য ছেড়ে দেওয়া সহজ। আর যারা কম পরিমাণে সংখ্যায় খান, তাদের ছেড়ে দেওয়ার তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। আজই ছেড়ে দেব। এই ইচ্ছা শক্তি যথেষ্ট। ছেড়ে দেওয়ার পর এক দুই দিন খারাপ লাগবে ঠিকই কিন্তু ইচ্ছাশক্তি, মোটিভেশন তাকে এটা ধরে রাখবে।