ধূমপান ছাড়তে ইচ্ছা শক্তি ও মোটিভেশন দরকার

সভায় পরামর্শ দেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান।

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২৯ অক্টোবর  ২০২২, প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  ‘ধূমপান ছাড়ার কৌশল’ শিরোনামে এ সভায় পরামর্শ দেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের  সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান।

সভায় ধূমপান ছাড়ার কৌশল সম্পর্কে জানতে চান একজন। উত্তরে ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান বলেন, ‘ইয়াবা, গাঁজা  যেমন মাদক হিসেবে ধরা হয়। তেমনি নিকোটিনকে আলাদা রাখার প্রবণতা রয়েছে। কেউ কেউ ধূমপানকে মাদক বলতে চান না। আমেরিকার গবেষণায় দেখা যায়, নিকোটিনকেও মাদক বলা হয়েছে। অন্যান্য মাদকের মতো নিকোটিনে আসক্তি তৈরি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিকোটিনের শারীরিক আসক্তি হয় না, কিন্তু আসক্তি হয় মানসিক। যিনি ধূমপান করেন প্রতিবার ছাড়ার চেষ্টা করেন তারপর পুনরাসক্তি হয়। যিনি সিগারেট খাচ্ছেন তিনি  কি পরিমাণে নিচ্ছেন এটা দেখতে হবে। দৈনিক চারটা বা পাঁচটা সিগারেট খাচ্ছেন। কেউ আবার ১০ থেকে ১২ টা নিচ্ছেন । দুইটার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দৈনিক যিনি বিশটা সিগারেট খান তার জন্য ছেড়ে দেওয়াটা কঠিন। প্রথম দিকে প্রত্যাহারজনিত সমস্যা হতে পারে । কিন্তু ইচ্ছা শক্তি যথেষ্ট । ইচ্ছা শক্তিও মোটিভেশন দরকার । কিন্তু যিনি দিনে ৪ থেকে ৫ টা নিচ্ছেন তার জন্য ছেড়ে দেওয়া সহজ। আর যারা কম পরিমাণে সংখ্যায় খান, তাদের ছেড়ে দেওয়ার তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। কালকে ছেড়ে দেবো। এই ইচ্ছা শক্তি যথেষ্ট। ছেড়ে দেওয়ার পর এক দুই দিন খারাপ লাগবে ঠিকই কিন্তু ইচ্ছাশক্তি মোটিভেশন তাকে এটা ধরে রাখবে।’