‘মাদক মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়’

প্রথম আলো ট্রাস্টের নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভা। ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল, ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার ৪৯তম সভায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত অতিথিদের মাদক সংক্রান্ত নানা বিষয়ে পরামর্শ এবং দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। উক্ত সভায় চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করে লিখেছেন আশফাকুজ্জামান। আজকে থাকছে পর্ব-৮৭।

প্রশ্ন: আমার ছেলের বয়স ২৯ বছর। নয় বছর যাবৎ মাদকাসক্ত। বর্তমানে সে ইয়াবা নিচ্ছে। এর আগে হেরোইনসহ প্রায় সব ধরনের মাদক নিয়েছে। কয়েকবার চিকিৎসা করিয়েছি। কিছুদিন ভালো থাকে। আবার মাদক নেয়। এখন কী করব?

উত্তর: মাদক মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়। সেটা ইয়াবা হোক বা অন্য যেকোনো মাদক হোক। আপনার সন্তান অনেক বছর যাবৎ মাদক নিচ্ছে। চিকিৎসা করলে ভালো হয়। আবার মাদক নেয়। মাদকাসক্ত রোগীদের এমন বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। আপনারা হতাশ হবেন না। কিছুটা ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসা করলে মাদকাসক্ত রোগী অবশ্যই ভালো হয়। মাদক থেকে সেরে উঠেছে এমন অসংখ্য উদাহরণ আমাদের কাছে আছে। মাদকের চিকিৎসা কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি। কোনো নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করালেই সে ভালো থাকবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হাসপাতাল হচ্ছে চিকিৎসার প্রথম পর্যায়। হাসপাতাল থেকে বাসায় আসার পর নতুনভাবে চিকিৎসা শুরু হয়। এটা হলো চিকিৎসার দ্বিতীয় পর্যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসা ভুল হলেই সে মাদকাসক্ত হবে। এ পর্যায়ে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। টাকা, মোবাইল, মাদকাসক্ত বন্ধু—সবকিছু থেকে মুক্ত থাকতে হবে।