‘সাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার হতে পারে’

প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২২ নভেম্বর  ২০২২, প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  ‘বাচ্চাদের স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব’ শিরোনামে এ সভায় পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতিমা মারিয়া খান। উক্ত পরামর্শ সভায় আসা নানা প্রশ্ন ও উত্তরের আলোকে আজকে থাকছে পর্ব-১৫৩।

প্রশ্ন: স্কুলে মানসিক বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা কি?

উত্তর: ডা. ফাতিমা মারিয়া খান বলেন, স্কুল এমন একটা জায়গা, জীবনের  প্রথম শিক্ষা স্কুলেই হয় । এই শিক্ষাই সারাজীবন কাজে লাগে। একটি বাচ্চা জন্মের পর থেকে তার ধীরে ধীরে মানসিক, সামাজিক উন্নয়ন হয়। তিন বছর থেকে আজকাল প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়। পাঁচ বছর বয়স থেকে বাচ্চারা স্কুলে যায়। স্কুলে মেন্টাল হেলথ খুবই জরুরি। এখন আমরা একক পরিবারে বাস করি, একসময় আমরা যৌথ পরিবারের বাস করতাম। বাচ্চাদের কোন সমস্যা হলে দাদা, দাদি নানা, নানি, চাচা, চাচি সাথে আলাপ করে সমাধান পেত। এখন  বাচ্চাদের কোন সমস্যা হলে একক পরিবারের বসবাস করার কারণে বাচ্চারা বাবা মাকে অনেক কথা  বলতে চান না, বা  বলতে পারে না।

প্রথমত বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না অথবা নানা রকম সমস্যা হয়। সোমাটিক সিম্পটম ডিসঅর্ডারের কারণে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা হয়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না । আবার অনেক সময় দেখা যায় সাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, তিন বছর থেকে  বাচ্চারা স্কলে ভর্তি হয় । কারও কারও জন্য স্কুলে ভর্তি হওয়া, পড়াশোনাটা  চাপ হয়ে যায়। এই কারণে শিশুদের মানসিক সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় খিচুনি দেখা যায় । শিশু কথাবার্তা কমিয়ে দেয় অথবা শিশু কথাবার্তা বন্ধ করে দেয় । অভিভাবকের কথা শুনে না। ওই সব সমস্যা হয়।  আচরণগত সমস্যা হয়। সব দিক মিলিয়ে স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা আছে।