‘সৃজনশীল কাজ ও সংস্কৃতির চর্চা করলে মানসিক বিকাশ ভালো হয়’

প্রথম আলো ট্রাস্টের নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভা। করোনাকালে এ সভা চলছে অনলাইনে। গত ২৭ এপ্রিল ২০২২, বুধবার বিকেল ৪টা থেকে আধা ঘণ্টা প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সহায়তা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আধা ঘণ্টার অনলাইন এই আয়োজনে মাদকবিরোধী পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম আতিকুর রহমান। ।অনলাইন এই অনুষ্ঠানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় আসে সেগুলো প্রশ্ন ও উত্তর আলোকে প্রকাশিত হচ্ছে। আজকে থাকছে পর্ব-৬৪।

বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যা্লয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম আতিকুর রহমান।

প্রশ্ন: সন্তানকে আমরা ডিভাইস তুলে দিয়েছি। সৃজনশীল কাজের সঙ্গে ব্যস্ত রেখে কীভাবে বড় করব?

উত্তর : অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়েই আমরা যাচ্ছি। ২০-২৫ বছর আগেও পাড়ায় পাড়ায় অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অনুষ্ঠান হতো। ঈদ, পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন হতো। কিন্তু এখনকার তরুণেরা নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মোবাইলে ফেসবুকে বেশি প্রচার দেয় । অর্থাৎ যতটা না ঘটে তার চেয়ে বেশি প্রচারের জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়।

পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকলে মাদক থেকে সন্তানেরা দূরে থাকে।

আগে যেমন আমরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতাম। এখন আর কেউ ঘরের খেয়ে মহিষ তাড়ায় না। পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকলে মাদক থেকে সন্তানেরা দূরে থাকে। একা একা যেসব সন্তান বড় হয় সমাজ থেকে বিচ্যুতি হয় তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। ঘরের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর অনেক সুবিধা আছে। সৃজনশীল কাজ,সংস্কৃতির চর্চা করলে মানসিক বিকাশ ভালো হয়।