সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান
দীর্ঘদিন মাদকবিরোধী নানা কর্মসূচি, মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভায় চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ অনুসরণে লিখেছেন আশফাকুজ্জামান।
সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযাত্রার এই বাস্তবতায় অনেক সময়েই অভিভাবকেরা সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। নানা ব্যবস্ততার কারণে সন্তানদের খোঁজখবর নেওয়া হয়ে ওঠে না। সন্তান যদি মা-বাবার সঙ্গ না পায়, তবে তাঁরা বিষণ্ণতায় ভোগে। এই বিষণ্ণতা কাটাতে তখন তাঁদের বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। একটা দীর্ঘ সময়ের অবহেলায় সন্তানেরা হতাশাগ্রস্ত হয়। হতাশা থেকে মাদকাসক্ত বা বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কাজে জড়িয়ে যায়। একবার নেশার জালে জড়িয়ে গেলে তাঁদের আর ফেরানর পথ কঠিন হয়ে পড়ে।
সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। কেবল কাটালে হবেনা। তাঁদের কার্যকর সময়ে দিতে হবে। অনেকে একসঙ্গে সময় কাটানোকেই সময় দেওয়া বলে মনে করেন। কেবল একসঙ্গে থাকলেই হবে না। এসবের মধ্য দিয়ে সমাজে চলার মতো করে তাঁদের তৈরি করতে হবে, আদর্শ ও মূল্যবোধ-সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ার পরামর্শ দিতে হবে। তাঁদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক ও শিক্ষকামূলক জ্ঞান দিতে হবে। প্রয়োজন মনে করলে সন্তানদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়া, খেলা দেখা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার সময় বের করতে হবে। এসবের মধ্য দিয়ে তাঁদের কার্যকর সময় দিতে হবে। সন্তানেরা যেন মা-বাবাকে বন্ধু ভাবতে পারে। ঘর থেকে বের হলেই সন্তানদের অন্ধকার পথে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই কার্যকর সময় দিলে সন্তানের বিপথগামী হওয়ার ভয় থাকে না।