যে ৪টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার পরিবারের সদস্য মাদকাসক্ত

দীর্ঘদিন মাদকবিরোধী নানা কর্মসূচি, মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভায় চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ অনুসরণে লিখেছেন আশফাকুজ্জামান।

যেকোনো পরিবারের যে কেউ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু অনেক মরণব্যাধির মতো শুরুর দিকে তার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। মাদকাসক্তি পুরোমাত্রায় হওয়ার পর, তার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখে বুঝতে হয়, পরিবারের সদস্যটি হয়তো মাদকাসক্ত। এরপরও বলতে হয়, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে মাদকাসক্ত ব্যক্তির আচরণ ও জীবনযাপনের কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ দেখে বোঝা যায়। বিশেষ করে অভিভাবকেরা যদি সন্তানের প্রতি নিয়মিত নজর রাখেন, তবে একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, তাদের সন্তান বা প্রিয়জন মাদকাসক্ত কিনা। লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো:

১. আচরণের সাম্প্রতিক পরিবর্তন। অস্বাভাবিক রাত জাগার প্রবণতা। ঠিকমত না ঘুমানো। বসে বসে ঝিমানো। স্বাভাবিক খাবার গ্রহণে অনীহা। ওজন কমে যাওয়া। সুনির্দিষ্ট কারণ কারণ ছাড়াই টাকা চাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। বিনা কারণে বাড়ির বাইরে বেশি সময় কাটানোর বদভ্যাস গড়ে ওঠা।

২. স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়া। সব সময় সর্দি-কাশি লেগে থাকে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। মনোযোগ কমে যায়। অলসতা, হতাশা তৈরি হয়। কখনো চুপ আবার কখনো বেশি কথা বলে।

৩. আড্ডার নামে অনেক সময় নষ্ট করে। প্রায়ই মিথ্যা কথা বলা। কথা ও কাজের গরমিল। ঘর থেকে গোপনে দামি জিনিসপত্র বিক্রি করা। দেরি করে বাসায় ফেরা। মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অত্যধিক আসক্তি এবং ঘন ঘন চা খাওয়া। টাকা পয়সা না থাকলে বিভিন্নভাবে সংসারের শান্তি বিনষ্ট করা।

৪. ঘরের মেঝেতে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, খালি শিশি, পোড়ানো দেশলাই ইত্যাদির চিহ্ন পাওয়া যায়। ফোড়া, আলসার, খোসপাঁচড়া, চুলকানি হওয়া। বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত হওয়া। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটা। সবদিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া।

অভিভাবক সচেতন হলে এসব লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে পরিবারের আদরের সদস্যটি মাদকে আসক্ত।