মাদক আমাদের অনুভূতি, চিন্তা, আচরণ অস্বাভাবিক করে দেয়

মস্তিষ্কের কোষগুলোকে বলা হয় নিউরন বা স্নায়ুকোষ। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ বা নিউরোট্রান্সমিটারের মাধ্যমে এই নিউরনগুলো তথ্যের আদানপ্রদান করে। নেশায় আসক্ত হয়ে যাওয়া আর নেশা থেকে মুক্ত হওয়ার বিষয়টুকু বুঝতে হলে সবার আগে আমাদের মস্তিষ্ক ও এর গঠন সম্পর্কে কিছু জানতে হবে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমেদ হেলাল বলেন, ’নেশার জন্য যে মাদকই গ্রহণ করা হোক না কেন, শরীরে প্রবেশ করে সেগুলোও কোনো না কোনো রাসায়নিক পদার্থে রূপান্তরিত হয়। ফলে মাদকের ‘রসায়ন’ নিউরোট্রান্সমিটারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। এতে আমাদের অনুভূতি, চিন্তা, মনে রাখা, শিক্ষণ প্রক্রিয়া, আচরণ ইত্যাদি অস্বাভাবিক হয়ে যায়। মস্তিষ্কেরও নিজস্ব কিছু আসক্তি সৃষ্টিকারী মাদকের মতোই বৈশিষ্ট্যযুক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে!’

তিনি আরও বলেন, ’ডোপামিন আনন্দ-অনুভূতিতে ভূমিকা রাখে; সেরোটনিন ঘুম, স্মৃতি, আবেগকে প্রভাবিত করে; নরএপিনেফ্রিন মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিউরোট্রান্সমিটারের মাধ্যমে নিউরনের উদ্দীপনা আর নিস্তেজের মধ্যে একটা স্বাভাবিক তাল-লয় থাকে বলেই আমাদের অনুভূতি, চিন্তা, মনে রাখা, শিক্ষণ প্রক্রিয়া এবং আচরণকে স্বাভাবিক রাখতে পারি। মনে রাখতে হবে, নিউরোট্রান্সমিটারগুলো সবই রাসায়নিক বস্তু।’

করোনাকালে প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সভা হয়েছে ২৫টি। প্রথম আলো ও ট্রাস্টের ফেসবুক পেজ এবং প্রথম আলোর ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। দর্শকেরা সরাসরি যুক্ত হয়ে বিশেষজ্ঞ মনোরোগ চিকিৎসকদের প্রশ্ন করে প্রয়োজনীয় উত্তর জেনে নেন।