বাবার স্বপ্নপূরণ করতে চান অদম্য স্মৃতি বালা

অপরাজেয় তারা লোগো

চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারিয়েছেন স্মৃতি বালা। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা তার শিক্ষাজীবনকে বার বার বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু শিক্ষার পথ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা স্মৃতি বালা ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

বাবা বিশ্বদেব সরকার আর মা শেফালী রানীর সংসারে স্মৃতি বালারা এক বোন, এক ভাই। স্বাচ্ছন্দ্যেই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু ২০১৪ সালে বিশ্বদেব সরকার হঠাৎ মারা যান। শেফালী রানী মেয়ে স্মৃতি বালা ও ছোট ছেলেকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন।সংসার চালাতে স্থানীয় বাজারে দরজির দোকান দেন তিনি। ওই কাজ থেকে হওয়া আয় দিয়ে সংসার চালিয়েছেন শেফালী রানী।

এ প্রসঙ্গে স্মৃতি বালা বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। মা বাধ্য হয়ে দরজির দোকান দেন। অনেক কষ্ট করে আমি লেখাপড়া করেছি। এসএসসিতে ভালো ফল করার পরও আর্থিক সঙ্কটের কারনে আমার কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। এসময় ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তি না পেলে আমি  কলেজে পড়া হতো না। বাবা স্বপ্ন দেখতেন আমি ডাক্তার হবো। মানুষের সেবা করব। ভবিষ্যতে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে বাবার স্বপ্নপূরণ করতে চাই।’

উল্লেখ্য, স্মৃতি বালা রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ভালো ফলাফল বিবেচনায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘আপরাজেয় তারা ’ শিক্ষাবৃত্তি পান তিনি।