হাঁসদা পরিবারের দুজন পড়ছে কলেজে

এইচএসসি পরীক্ষার্থী পার্বতী হাঁসদা ও সমচান হাঁসদা।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী পার্বতী হাঁসদা ও সমচান হাঁসদা। দুজনেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। তারা বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সাবেক শিক্ষার্থী। পড়ালেখা করে পার্বতী হাঁসদা চান শিক্ষক হতে আর সমচান হাঁসদা হতে চান ব্যবসায়ী। পড়ালেখার পাশাপাশি সমচান বাড়িতে গরু লালনপালন করেন। পড়ালেখা করে নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চান। তাঁরা মানিক হাঁসদা ও বিশন টুডুর ছয় ছেলে মেয়ের মধ্যে তারা চার ও পাঁচতম সন্তান। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামের বাসিন্দা।

সমচান হাঁসদা বলেন, ‘আলোর পাঠশালার শিক্ষকেরা বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিত। জোর করে ধরে স্কুলে নিয়ে এসে পড়াত। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এতদূর এগিয়ে আসতে পেরেছি। এ স্কুলের অবদান কোনো দিনই ভুলব না।’ পার্বতী হাঁসদা বলেন, ‘এখন থেকেই কয়েকজন শিশুকে বিনা পয়সায় বাড়িতে প্রাইভেট পড়াই।’

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া এ জনপদের মধ্যে একটি পরিবারের সন্তান হচ্ছেন পার্বতী হাঁসদা ও সমচান হাঁসদা। এ পরিবারের দুই ভাই-বোন একসঙ্গে কলেজে পড়ছে। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। বিশেষ করে মেয়েদের কলেজে পড়তে যাওয়াটা খুবই ভালো। এতে বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তা রয়েছে। এ ছাড়া সমচান নিজেই কাজ করে নিজের খরচ মেটাতে পারে।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।