স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার সময় পাঠদান কর্মসূচি

করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি গিয়ে পাঠদান করেছেন আলোর পাঠশালার শিক্ষকেরা।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার দশম শ্রেনির ছাত্র মো. ফজলে রাব্বি বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়ে। তখন শিক্ষকেরা অমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়াতেন। আমরা পড়াশোনার এগিয়ে নিতে পারছি। এতে থেমে থাকা লেখাপড়া এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।’

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. নূর আলম বলেন জানালেন, ‘শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষকেরা বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বাসায় পড়া দিয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। শ্রেনিভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সপ্তাহে ২-৩ দিন করে পাঠদান করানো হয়েছে। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান আদান প্রদান করেছেন।

করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি গিয়ে পাঠদান করেছেন আলোর পাঠশালার শিক্ষকেরা।

ফজলে রাব্বির বাবা মো. মাসুদ রানা বলেন,‘করোনার সময় সরকার যখন স্কুল বন্ধ ঘোষণা করল। তখন এ স্কুলের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঠদান করতে লাগলেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি ঝরে পড়ার আশঙ্কা থাকেনা। তাই এ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।