শিক্ষার্থীরাই বাগান করে আলোর পাঠশালায়

শিক্ষার্থীদের করা বাগানে ফুল ফোটেছে।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার সামনে রয়েছে তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি বাগান। রয়েছে নানান জাতের গাছ। যেমন: গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, গোলাপ, রঙ্গন, কামিনী, গাঁদা, মরিচ, শিউলি, জবা, টগর, সুপারি ইত্যাদি।

কিছু ফুল রাতে ফুটে । রাতে ফোটা ফুল সাধারণত সাদা হয়। আবার এ ফুলের বাহারি সুগন্ধও রয়েছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সুগন্ধি সব ফুল। কামিনী, গন্ধরাজ, শিউলি ফুলের সুবাসে মুখরিত স্কুলের চারপাশ। গ্রামের ছোট বড় সকলে বিদ্যালয় ফুল বাগানের পাশে বসে সময় কাটায়। কেউ বিকেলে আবার কেউ সন্ধ্যা থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত। আর এই সৌন্দর্য্য তৈরিতে সবচেয়ে বড় অবদান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। প্রাথমিক অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বাগান তৈরির প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বাগান তৈরি করে গাছ লাগানোর প্রতি আকৃষ্ট হয়।

শিক্ষার্থীদের করা বাগানে ফুল ফোটেছে।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. নূর আলম বলেন, বাগান শিক্ষার্থীরাই করে । তারা রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে বাগানের কাজে অংশগ্রহণ করে। বীজতলা তৈরি, বীজ সংগ্রহ, চারা উৎপাদন, সার প্রয়োগ, পানি সেচ, পরিচর্যা ইত্যাদি কাজে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

বিদ্যালয়ের ফুল বাগান দেখে গুড়িহারী গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে ফুলের বাগান। যখন সব গাছে ফুল ফোটে তখন খুব ভালো লাগে। স্কুলের দিকে আসলে একবার হলেও বাগানের দিকে যাই এবং ফুল গুলো দেখি।’

শিক্ষার্থীদের করা বাগানে ফুল ফোটেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমিতা রানী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন স্কুল শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এসে বান্ধবীদের নিয়ে বাগানের সব গাছে পানি দিয়ে গাছের গোড়া পরিষ্কার করি। শিউলি ফুল আমার ভালো লাগে। বাগানের সব ফুল ফোটলে মনটা আনন্দে ভরে যায়।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে এই ট্রাস্ট।