শান্তি হাঁসদা শিক্ষক হতে চান

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শান্তি হাঁসদা। বাবা নন্দলাল হাঁসদা ও মা মাধুরী টুডুর দ্বিতীয় সন্তান তিনি। শান্তি হাঁসদা অনেক প্রতিকূল পরিবেশে বড় হয়েছেন। তার বাবা ভূমিহীন কৃষক, অন্যের জমিতে চাষাবাদ করেন । যে পরিমাণ অর্থ আয় করে তাতে তাঁদের সংসার চলে না। লেখাপড়ার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের জন্য কৃষি জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন শান্তি। পরিবারে তাঁর দুই বছরের ছোট ভাই আছে। তাঁর বাবা ও মা দিনমজুর হিসেবে কাজে গেলে বাড়ির রান্না ও অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সে তাঁর ছোট ভাইকেও দেখাশোনা করেন। সপ্তম শ্রেণিতে তাঁর রোল নম্বর দুই। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে বিদ্যালয়ের নাচের দলে অংশগ্রহণ করে অনেক বার প্রথম স্থান দখল করেছেন।

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস বলেন, ‘শান্তি হাঁসদা নাচ ছাড়াও দেওয়ালে অনেক সুন্দর আলপনা আঁকতে পারে। তার পরিবার তাকে একাধিকবার বাল্য বিবাহ দিতে চেয়েছে। কিন্তু সে রাজি হয়নি। লেখাপড়ার প্রতি তার অদম্য ইচ্ছা ও দৃঢ় মনোবল তাকে থামাতে পারেনি। এত প্রতিকূল পরিবেশে বড় হওয়ার পরেও সে স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে সে একজন আদর্শ শিক্ষক হবেন। শান্তি হাঁসদা বলেন, ‘লেখাপড়া শেষ করে একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চাই।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো বাবুডাইং আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।