পড়ালেখার পাশাপাশি সংসারের কাজে সহায়তা করেন সাকিবুল

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান।

প্রমত্তা পদ্মার ভয়াল গ্রাসে জমি ও ভিটেমাটি হারান সাকিবের বাবা তরিকুল ইসলাম। নি:স্ব হয়ে প্রায় ৯ বছর আগে আশ্রয় নিয়েছেন বাবুডাইং গ্রামে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তরিকুল ইসলাম। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালান। সঙ্গে বাড়ির লাগোয়া ছোট একটি চায়ের দোকান আছে তাঁর। কৃষিকাজের পাশাপাশি চায়ের দোকানের সামান্য উপার্জনে সংসার চলে কোনোমতে।

তরিকুল ইসলামের তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় কুলসুম খাতুন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায় কুলসুমের। দ্বিতীয় সন্তান মাহফুজা খাতুন আলোর পাঠশালায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলে সাকিবুল হাসান পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সাকিবুল পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষিজমিতে কাজ করেন । বাবার জন্য নিয়মিত খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ, ছাগলের জন্য ঘাস সংগ্রহ এবং বাবার অনুপস্থিতিতে চায়ের দোকানেও কাজ করতে হয় সাকিবুলকে।

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা সহকারী শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ বলেন, ‘সাকিবুল হাসান পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। পড়ালেখার পাশাপাশি সংসারের কাজে সহায়তা করে।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো বাবুডাইং আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।