প্রাণ ফিরেছে আলোর পাঠশালায়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করানো হচ্ছে মদনপুর আলোর পাঠশালায়

দমদমিয়া আলোর পাঠশালার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিবা বেগম বলেন, ‘আরা ইস্কুলে যাচ্ছি। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে টোলে বসে লেখাপড়া করছি আর গল্প করতে পারছি। তাতে খুবই আনন্দ লাগছে।’ দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলেছে। তাই শিশুরা আনন্দে দিশাহারা। অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো ফিরে আসুক এটায় প্রার্থনা করছি।

স্কুল খোলার আগে আলোর পাঠশালা ধোয়া-মোছা করা হয়েছে। দমদমিয়া আলোর পাঠাশালার ছবি।

দমদমিয়া আলোর পাঠশালার সহকারী শিক্ষক রবিউল আলম বলেন, স্কুল প্রায় আঠারো মাস ধরে বন্ধ ছিল। যেহেতু স্কুল চালু হয়েছে, তাই ধোয়া-মোছার কাজ সেরে ফেলেছি।

দমদমিয়া আলোর পাঠশালার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম বলেন, স্কুল চালু হয়েছে এটি অত্যন্ত খুশির খবর। প্রাণ ফিরেছে আলোর পাঠশালায়। শিক্ষার্থীদের কোলাহলে আবার মুখরিত হয়েছে স্কুল প্রাঙ্গণ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়ে আসছে আলোর পাঠাশালার শিক্ষার্থীরা।

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম আলো ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত দমদমিয়া আলোর পাঠশালার অবস্থান। এ স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৯৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। খেলার মাঠে দীর্ঘদিন পরে থাকা চরকি, দোলনা ও স্লিপারসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র ধোয়া-মোছা হয়েছে। বেঞ্চগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় বেঞ্চ সংযোজন করা হয়েছে। প্রবেশ গেটে 'নো মাস্ক, নো স্কুল' সহ বিভিন্ন সচেতনতা ও নির্দেশনামূলক লেখা টানানো হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জটলা বা ভিড় এড়াতে নির্দিষ্ট দূরত্বে বৃত্ত অঙ্কন করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট দমদমিয়া আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।