রচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা,ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত আলোর পাঠশালায় স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী আলোর পাঠশালা স্কুলে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা সবাই ভালো করে। আবার স্কুলের সবাইকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ২০টি প্রশ্নের কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। সেখানেও প্রায় সবাই উত্তর দিতে সক্ষম হয়। এ কারণে সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্কুলের পাশে তালাইমারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বেলুন ফাটানো, বস্তা দৌড়, হাই ও লং জাম্প, অভিভাবকদের হাঁড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা হয়। বিকেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্কুল প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ হয়েছে।
বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় ঐতিহ্যবাহী তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা, অংক দৌড়, মোরগ লড়াই, বালিশ খেলা, দৌড় প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা হয়েছে ।প্রতিযোগিতা শেষে , পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর একে একে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মদনপুর আলোর পাঠশালা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় মদনপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালায় দৌড় প্রতিযোগিতা, মোরগ লড়াই, বালিশ খেলা হয়েছে । প্রতিযোগিতা শেষে, পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দমদমিয়া আলোর পাঠশালা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ‘খুদে ডাক্তার’ এর আয়োজন করে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের ডাক্তার হবে। তারই একটা মহড়া দেওয়া হয়। খুদে ডাক্তার শিশুদের স্যালাইন খাওয়ানো হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ওজন মাপা, উচ্চতা মাপা চোখের পরীক্ষা করে। দমদমিয়া আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
রাজশাহী আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে বহু মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা-সংগ্রাম রয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের ২৩ বছরের বৈষম্য, অত্যাচার, দুঃশাসনের ফলাফল এই স্বাধীনতা। বীর বাঙালি যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ করে। ন্যায়ের যুদ্ধে তাঁরা বিজয়ী হন। এই স্বাধীনতার মান ধরে রাখতে কাজ করে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বইয়ের বাইরেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাঁরা নানা তথ্য দেন। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা দিবস নিয়ে প্রতিযোগিতায় তারা ভালো করেছে। সবাই ভালো করেছে বলে সবাইকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।