নতুন বইয়ের আনন্দে বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা

বছরের প্রথম দিন শনিবার নতুন বই পেয়ে আনন্দিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

বই উৎসব না হলেও বছরের প্রথম দিন শনিবার নতুন বই পেয়ে আনন্দে বাড়ি ফিরেছে বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব বই বিতরণ করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। প্রথম পর্বে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় পর্বে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। নতুন বই পেয়ে এর ঘ্রাণ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

বছরের প্রথম দিন শনিবার নতুন বই পেয়ে আনন্দিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্যামল মার্ডী বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনে নতুন বই নিতে এসে উৎসবে অংশ নিতে পারতাম। অনেক আনন্দ হত। কিন্তু এবার এ উৎসব না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে বসেই বই নিতে হয়। তবুও নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে।’

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা. তাহারিমা বলেন, ‘বই উৎসবে বই নিতে এসে অনেক আনন্দ হত। বই নিয়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠতাম। যেতে যেতে রাস্তার ধারে গোল হয়ে বসে পড়ে নতুন বইয়ের ছবি দেখতাম। গন্ধ শুঁকতাম। আজকে উৎসব না হলেও নতুন বই পাওয়ার আনন্দ আগের মতোই আছে।’

বছরের প্রথম দিন শনিবার নতুন বই পেয়ে আনন্দিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর বলেন, ‘নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দের সীমা থাকে না। বই পেয়ে একেতো উচ্ছ্বসিত হয়। খুশি মনে হই-হুল্লোড় করতে করতে বাড়ি ফিরে শিক্ষার্থীরা। তাঁদের আনন্দ দেখে আমাদের মনটাও প্রশান্তিতে ভরে ওঠে।’

বই বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজারুদ্দিন, অভিভাবক কার্তিক কোল টুডু, সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস, লুইশ মুরমুসহ সকল সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।

লেখক: প্রধান শিক্ষক, বাবুডাইং আলোর পাঠশালা, বাবুডাইং, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।