চায়ের দোকানেও কাজ করতে হয় সাকিবুলকে

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান।

তরিকুল ইসলামের তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় কুলসুম খাতুন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায় কুলসুমের। ছোট ছেলে সাকিবুল হাসান রাজশাহীর বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সাকিবুল পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষিজমিতে কাজ করেন । বাবার জন্য নিয়মিত জমিতে খাবার পৌঁছে দেন। ছাগলের জন্য ঘাস সংগ্রহ করেন । কোনো কাজে বাবা ব্যস্ত থাকলে ওই সময়ে বাবার অনুপস্থিতিতে চায়ের দোকানেও কাজ করতে হয় সাকিবুলকে।

এর পেছনের গল্প হল, ১০ বছর আগে প্রমত্তা পদ্মার ভয়াল গ্রাসে জমি ও ভিটেমাটি হারান সাকিবের পরিবার। সাকিবের বাবা তরিকুল ইসলাম নি:স্ব হয়ে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার বাবুডাইং গ্রামে আশ্রয় নেন। তরিকুলই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালান। সঙ্গে বাড়ির লাগোয়া ছোট একটি চায়ের দোকান আছে তাঁর। কৃষিকাজের পাশাপাশি চায়ের দোকানের সামান্য উপার্জনে সংসার চলে । দ্বিতীয় সন্তান মাহফুজা খাতুন আলোর পাঠশালায় নবম শ্রেণিতে পড়ে।

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা সহকারী শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি সংসারের কাজে সাকিবুল হাসান সহায়তা করে।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।