গুড়িহারী গ্রামে ‘ফারাজ স্মৃতি পাঠাগার’

গুড়িহারী গ্রামে ‘ফারাজ স্মৃতি পাঠাগার । করোনার আগে তোলা ছবি।

পাঠাগারটির নাম ‘ফারাজ স্মৃতি পাঠাগার। এই পাঠাগারটি গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর জন্য করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে এই মাটির ঘরের সামনে গ্রামের শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সবাই পড়তে আসেন বই।টিনশেড ঘর, ঘরের দেওয়াল মাটি দিয়ে তৈরি এবং মেঝে পাকা। ঘরের মাঝখানে একটি বড় টেবিল রয়েছে। টেবিলের ওপরে প্রতিদিনের খবরের কাগজ রাখা। স্টীলের তাকে সাজানো রয়েছে বই। পাঠাগারটি গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা পরিচালনা করছে ।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. নূর আলম বলেন, ‘প্রায় ১ হাজার বই লাইব্রেরীতে রয়েছে। নজরুল ,রবীন্দ্র রচনাবলী,রয়েছে বাংলাপিডিয়া রয়েছে । এখানে বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা বই পড়ে। বিকেলে বা রাতে গ্রামের বা বিভিন্ন এলাকার লোকজনও বই পড়তে আসেন।' পাঠাগারে ঢাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি প্রায় ২০০ টি বই দান করেছেন।

পাঠাগারটির উদ্যোক্তা মাসুদ রানা বললেন, 'ফরাজের আত্মদানের ঘটনাটা ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল আমায়।তাঁকে মানুষের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কী করা যায়, ভাবতে গিয়েই মাথায় এই পাঠাগার করার চিন্তা আসে। '

উল্লেখ্য, গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ সারা দেশে মোট ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সরকার বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করছে। সামিট গ্রুপের সহযোগিতায় স্কুলে বিনা মূল্যে পড়াসহ নানা ব্যবস্থা করেছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।