গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শান্ত শিক্ষক হতে চান

ওগাঁর গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার সাবেক শিক্ষার্থী শান্ত দাস।

‘আমার বাবা ভ্যান চালান। বাবার শরীর খারাপ থাকলে মাঝেমধ্যে আমাকেও ভ্যান চালাতে হতো। ২০১৮ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাই। ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.২৮ পাই। এ বছর নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেব। আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।’—বলছিলেন নওগাঁর গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার সাবেক শিক্ষার্থী শান্ত দাস।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. নূর আলম বলেন, ‘শান্ত দাস এ স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে এখন কলেজে পড়ছে। এর আগে সে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এটা আমাদের জন্য গৌরবের।’

শান্ত দাস বলেন, ‘এ এলাকার মানুষ শিক্ষায় পিছিয়ে আছে। আগে এখানে হাইস্কুল ছিল না। তাই প্রাইমারি পাসের পর আমার বয়সী ছেলেরা সংসার চালানোর জন্য মাঠে কাজ করত। স্কুলের শিক্ষকেরা আমার মা–বাবাকে বোঝান, আলোর পাঠশালা স্কুলে পড়তে কোনো খরচ নেই। এর পর থেকে আবার স্কুলে যাওয়া শুরু করি। আমার স্বপ্ন, একদিন শিক্ষকতা করব।’

বাংলাদেশের যে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, সে রকম অবহেলিত ছয়টি জায়গায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। ‘আলোর পাঠশালা’ নামের এই ৬টি স্কুলে সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।