অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করানো হচ্ছে মদনপুর আলোর পাঠশালায়

মদনপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. আকতার হোসেন জানালেন, ’দীর্ঘ ৫৪৪ দিন পর সরকার দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। সরকারী বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় খুলে দিয়েছি আমরা। পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে থাকা সত্ত্বেও অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী গামছা বা লুঙ্গি পরে পানি পার হয়ে ড্রেস পরিবর্তন করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে।’

মো. আকতার হোসেন আরও বলেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে। ছাত্র-ছাত্রীরা আগে থেকেই বিদ্যালয়ে আসার জন্য ব্যাকুল ছিল। অভিভাবকেরা আমার কাছে ফোন করে জিজ্ঞেস করত বিদ্যালয় কখন খুলবে। তবে এমন উৎসাহ-উদ্দীপনার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পানি। বিচ্ছিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের আসতে অনেক কষ্ট হয়। তারপরেও ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসে। বিদ্যালয়ে আসতে পেরে শিক্ষার্থীরা খুবই খুশি। বিদ্যালয় খোলার কারণে শিক্ষকেরাও খুশি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করানো হচ্ছে মদনপুর আলোর পাঠশালায়

নবম শ্রেণির ছাত্র এমরান খান বলেন, ‘নতুন ক্লাসে ওঠে ক্লাস করলাম। অনেকদিন পর সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হলো। খুব ভালো লাগছে।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট মদনপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।