কামদেবপুর গ্রামের কৃষকের মেয়ে মোসা: নাউমি খাতুন। গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার সপ্তম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী পড়ালেখায় অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়ে আসছে। শতভাগ উপস্থিতি ও প্রতি বছর প্রথম স্থান অর্জনের ধারাবাহিক সাফল্যের পর তার এখন একটাই স্বপ্ন—শিক্ষার সর্বোচ্চ মর্যাদার আসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়া।
২০২৪ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নাউমি তার শিক্ষা জীবনে বরাবরই প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। ২০২৪ থেকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণীতে তার শতভাগ উপস্থিতি প্রমাণ করে পড়ালেখার প্রতি তার গভীর মনোযোগ। পড়ালেখার পাশাপাশি সকল বিষয়ে পারদর্শী এই মেয়েটি মনে করে, আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অজপাড়াগাঁয়ের মেয়েরা এগিয়ে চলেছে। অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে নাউমি বলে, 'একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা দান করা যায় এবং নিজের বিষয়ের উপর গবেষণা করা যায়। আমি শিক্ষার সর্বোচ্চ পদের মর্যাদা পেতে চাই। আমি চাই অধ্যাপক হতে।'
নাউমির বাবা মোঃ আমিনুর কামদেবপুর গ্রামের একজন আদর্শ কৃষক, যিনি রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে জমিতে ফসল ফলান। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর নাউমি মায়ের সাথে হাঁস-মুরগি লালন-পালনসহ বাড়ির কাজেও সাহায্য করে। মেয়ের স্বপ্ন পূরণে বাবা আমিনুর দৃঢ় প্রত্যয়ী। তিনি বলেন, আমার মেয়ে লেখাপড়ায় বেশ ভালো। তার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমার মেয়ে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। আমি প্রথম আলো ট্রাস্টকে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার জন্য অনুরোধ জানাই। গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রাজিত দাস নাউমি সম্পর্কে বলেন, 'নাউমি খাতুন অসম্ভব মেধাবী একজন শিক্ষার্থী। সে তার পড়াশোনায় খুব মনোযোগী। সঠিক পরিবেশ ও পরিচর্যা পেলে সে অবশ্যই তার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।'