বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের স্কুল পর্যায়ে বই পড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে বার্ষিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের স্কুল পর্যায়ে বই পড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে বার্ষিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বই দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক এএফএম সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দ ও বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক এএফএম সাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ। বই পড়া নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরমিলা হাঁসদা, ইসরাত জাহান, রিতা টুডু, সপ্তম শ্রেণির সিমা খাতুন প্রমূখ। এসময় শিক্ষার্থীরা যেসকল বই পড়েছে সেই বই সম্পর্কে সংক্ষেপে মূলভাবগুলো সকলের সামনে উপস্থাপন করে। পাশাপাশি বই পড়ে তাদের আনন্দ পাওয়ার কথা জানায়।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী পড়ে মনের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে ইসরাত জাহান বলে,অপু-দুর্গার পরিবারে অভাব-অনটনের বিষয়টিতে কষ্ট পেয়েছি।আবার প্রকৃতির মাঝে তাঁদের ছোটাছুটি,আনন্দ পাওয়া। এসব পড়ে মনে হয়েছে যেন আমাদের জীবনের কথাগুলো লেখা হয়েছে। আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে আমরা অনেক মিল খুঁজে পেয়েছি। বক্তারা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের বাইরেও নানা ধরনের বই পড়া,বিদ্যালয়ের পাঠাগারে নিয়মিত গিয়ে বেশি বেশি বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন পড়ার আহবান জানান।

বক্তব্য শেষে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আয়োজিত প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির বিজয়ী ১৭ শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার পাওয়া বইগুলোর নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠচক্র করার পরামর্শ দেন বক্তারা। তারা বলেন, করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে। তারা পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও অন্যান্য বিষয়ও জানতে পারবে।